
Witness the Magnificence: Devotees joyfully pull the grand Rath Yatra chariot through bustling streets, celebrating faith, tradition, and togetherness during this iconic festival.
রথযাত্রা ২০২৫: সিলিগুড়ির গাড়িয়া মঠে বিশ্বাস, ঐক্য ও ঐতিহ্যের মহাযজ্ঞ
আগামীকাল সিলিগুড়ির নৌকাঘাট-সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত গাড়িয়া মঠে পালিত হতে চলেছে বাংলার অন্যতম বর্ণাঢ্য ও মহাযজ্ঞ—রথযাত্রা উৎসব। সিলিগুড়ির সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন গাড়িয়া মঠের প্রাঙ্গণে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগমে ভরে উঠবে সড়ক ও মন্দির চত্বর। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, রথযাত্রার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। বিশাল রথটি সাজানো হচ্ছে রঙ-বেরঙের কাপড়, ফুল ও নকশায়। মন্দিরের পাশে বসে আছেন ভক্তরা, কেউ ভজন গাইছেন, কেউ রথের সাজসজ্জায় ব্যস্ত।

গাড়িয়া মঠের রথযাত্রার মাহাত্ম্য
আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে গাড়িয়া মঠে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এবছর তা ২৭ জুন পালিত হবে। এই উৎসবে শ্রীজগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথ টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। মঠের পুরোহিতদের মতে, এই নয় দিনের যাত্রা শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এর গভীরে রয়েছে আধ্যাত্মিক পুনর্নবীকরণ ও সামাজিক ভেদাভেদ ভেঙে দেওয়ার বার্তা।
বিশাল শোভাযাত্রার সরাসরি দৃশ্য
গাড়িয়া মঠের রথযাত্রার প্রধান আকর্ষণ হলো বিশাল রথ। গতকাল প্রত্যক্ষ করা গেল, রথটি প্রায় ৪০ ফুটের কাছাকাছি উঁচু। প্রতি বছর দক্ষ কারিগররা পবিত্র কাঠ দিয়ে এই রথ নির্মাণ করেন। রথযাত্রার দিনে হাজার হাজার ভক্ত রথের দড়ি ধরে টানবেন, ভক্তিমূলক গান গেয়ে উৎসবের আনন্দে মাতবেন।

সকলের জন্য উৎসব
গাড়িয়া মঠের রথযাত্রার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল এর সর্বজনীনতা। সিলিগুড়ির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন এই উৎসবে অংশ নিতে। ভক্ত, পর্যটক, এমনকি শিশু-কিশোররাও রথ টানার আনন্দে সামিল হন। মঠের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খলতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
সিলিগুড়ির সবচেয়ে বড় রথযাত্রা
সিলিগুড়ির নৌকাঘাট-সংলগ্ন গাড়িয়া মঠের রথযাত্রা এলাকার সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান। গত কয়েক বছরে ভক্তের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। মঠের পাশাপাশি আশপাশের সড়কও ভরে ওঠে ভক্তদের ভিড়ে। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবছরও বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। রথযাত্রার দিনে ভক্তদের জন্য প্রসাদ বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভজন-কীর্তনের ব্যবস্থা থাকবে।
রথযাত্রার রীতি ও কর্মসূচি
রথ নির্মাণের কাজ অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু হয় এবং রথযাত্রার আগেই শেষ হয়। মূল অনুষ্ঠান—রথ টানা—২৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নয় দিন ধরে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান, যেমন হেরা পঞ্চমী, বহুড়া যাত্রা (ফেরার যাত্রা), সোনা বেশ (স্বর্ণালংকারে দেবতাদের সাজ) ইত্যাদি পালিত হবে। উৎসবের সমাপ্তি হবে নীলাদ্রি বিজয়ে, যখন দেবতারা আবার মন্দিরে= ফিরে আসবেন।

কেন গাড়িয়া মঠের রথযাত্রা মানুষকে আকর্ষণ করে?
গাড়িয়া মঠের রথযাত্রা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি জীবনের উৎসব, বিশ্বাসের উৎসব, সম্প্রীতির উৎসব। হাজার হাজার মানুষ একসাথে রথ টানেন, ভজন-কীর্তনের সুরে মুখরিত হয় পরিবেশ। দেবতাকে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার এই বার্তা আজকের পৃথিবীতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
২০২৫ সালের রথযাত্রা সামনে রেখে গাড়িয়া মঠ আজ বিশ্বাস, ঐক্য ও আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণের প্রতীক হয়ে উঠেছে। আপনি যদি ভক্ত হন, ভ্রমণকারী হন বা কৌতূহলী হন—গাড়িয়া মঠের রথযাত্রা আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে এই মহাযজ্ঞে শরিক হতে।
ফিচার্ড ইমেজের জন্য
শিরোনাম:
মহিমাময় রথযাত্রার রথ: সিলিগুড়ির গাড়িয়া মঠে শ্রীজগন্নাথের শোভাযাত্রা
বর্ণনা:
সিলিগুড়ির নৌকাঘাট-সংলগ্ন গাড়িয়া মঠের বিশাল, অলংকৃত ও রঙিন কাপড়ে সজ্জিত রথের ছবি, যা রথযাত্রার দিনে হাজার হাজার ভক্তের দ্বারা টানা হচ্ছে। চারদিকে ভক্তদের ভিড়, আনন্দ ও ভক্তিমূলক পরিবেশ।
ক্যাপশন:
দর্শনীয় মহিমা: রথযাত্রার দিনে সিলিগুড়ির গাড়িয়া মঠে ভক্তরা আনন্দে রথ টানছেন, বিশ্বাস, ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির এই মহাযজ্ঞে অংশ নিয়ে।